নিজ মন্ত্রনালয়ের পাশাপাশি সংসদীয় আসনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ করে প্রসংশিত হয়েছেন তিনি।
এইচ আর হীরা :: বরিশাল সদর-৫, দখিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত এ আসনটিতে ১৯৭৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা। বিএনপি ধারাবাহিক ভাবে নির্বাচিত হয়ে আসায় আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক ছিলো তলানিতে। সূত্র বলছে, ১৯৭৩ সালের পর আওয়ামী লীগ বিভিন্ন নির্বাচনে হেবিওয়েট প্রার্থী দিলেও এ আসনটিতে তাদের প্রাপ্ত ভোট দলের ইমেইজকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়নি।
তবে ২০০৮ সালের অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়েও সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে তিনি বিএনপির প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ারের কাছে পরাজিত হন।বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট বর্জন করলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিজয়ী হন শওকত হোসেন হিরন।
২০১৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করার পরে তার স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ উপ-নিবাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়। তবে হিরনপত্নি যখন এ আসনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে দলের শক্ত অবস্থান গড়তে পারেনি ঠিক তখন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনায়ন দেয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদ ফারুক শামীমকে।
সেই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ারকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দেন জাহিদ ফারুক শামীম। জনশ্রুতি রয়েছে, ক্লিন ইমেজের সংসদ সদস্য হিসেবে জাহিদ ফারুক শামীমকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন সরকার প্রধান ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে সারাদেশে এ মন্ত্রনালয়ের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মজজ্ঞের পাশাপাশি যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন বরিশালের তৃণমূল আওয়ামী লীগ তথা তার সংসদীয় আসনের সাধারন মানুষের সাথে। তারই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের কাছে এক আস্থার জায়গায় পরিনত হয়েছেন জাহিদ ফারুক শামীম।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি নির্বাচনে নানা বিতর্কিত কর্মকা-ের কারনে সাদিক আব্দুল্লাহ দলীয় মনোনায়ন বঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনে বিভিন্ন ভাবে বাধা বিঘ্ন ঘটিয়েও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের দক্ষ নেতৃত্বে বিভিন্ন দিকনির্দেশনায় খোকন সেরনিয়াবাত বিপুল ভোটে বিজয়ী হন, যার ফলশ্রুতিতে নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে জাহিদ ফারুকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাহিদ ফারুককে দেখার দাবী জানান।
অন্যদিকে মেয়র নির্বাচনে দলীয় মনোনায় বঞ্চিত হওয়ার পরে আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসনে সাদিক আব্দুল্লাহ দলীয় মনোনায় চাইবেন বলে শোনা যায়। সাদিক ছাড়াও বেশ কয়েকজন নেতা এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনায়ন প্রত্যাশী তবে শেষ পর্যন্ত কে পাচ্ছেন দলীয় টিকিট সেটিই এখন দেখার পালা।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply